
কর্ণফুলী প্রতিনিধি ঃ
কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটায় এক পাষন্ড কতৃক নির্যাতনের শিকার শিশু ইমতিয়াজ খাঁন (৮) কে দেখতে গেলেন কর্ণফুলী জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. ইয়াসির আরাফাত।
এসময় সঙ্গে ছিলেন কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দুলাল মাহমুদ ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।
৭ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দুপুর ২টায় চরপাথরঘাটার মোহছেন আউলিয়া পাড়ায় শিশুটিকে বাসায় দেখতে যান। শিশুটির জন্য উপহার সামগ্রী ও পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে শিশু ইমতিয়াজের শারিরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন দুই পুলিশ কর্মকর্তারা।
গত বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের মোহছেন আউলিয়া পাড়ার শামসুল আলমের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর শিশু ইমতিয়াজকে নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল হয়।
এরপর, গত ২ জানুয়ারি শিশুটির বাবা মো. সেলিম খাঁন বাদি হয়ে অভিযুক্ত জকির আহমেদসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন-চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের মৃত নজির আহমেদ এর চার ছেলে যথাক্রমে জকির আহমেদ (৩০), পেয়ার আহমেদ (৩৮), নাছির আহমেদ (৫০) ও আনার আহমেদ (৩৫)। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, আসামিরা সবাই উচ্চ আদালত হতে আগাম জামিন নিয়েছেন।
এ বিষয়ে এসি মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, শিশু ইমতিয়াজের উপর যে ঘটনাটি তা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও দুঃখজনক। শিশুদের প্রতি সকলের মানবিক হওয়া দরকার। অপরদিকে, এঘটনায় পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সর্বোচ্চ তৎপরতায় আসামিরা জামিন নিতে বাধ্য হন। জামিন নিয়ে কোন আসামি যেনো বাদিপক্ষকে হয়রানি বা হুমকি না দেয় সেদিকে সিএমপি প্রশাসন কঠোর নজরদারিতে থাকবে। পাশাপাশি অতি শিগগিরই এ মামলার চার্জশিট আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে তিনি জানান।’