
সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁহ।
কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালীতে শাহিনুর সাধন বৈদ্যের খপ্পরে পড়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছে নারী-পুরুষ।
বৃহত্তর ঈদগাঁহসহ জেলার বাইরে ও বিভিন্ন এলাকার লোকজনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদরের পোকখালী ইউনিয়নের ব্রীজ (হরঘোরা) এলাকায় প্রায় ৩ দশক ধরে বছর বসবাস করে আসছে উত্তরবঙ্গের শাহিনুর।
সে রাজমিস্ত্রি থেকে শুরু করে রিকশা-ভ্যানসহ বিভিন্ন কাজ করে জীবন ধারন করে আসলেও শেষ পর্যন্ত জীবন জীবিকার জন্য বেচে নেন প্রতারণার আশ্রয়।
সে এখন বড় সাধক। তার দ্বারা সবকিছুই সম্ভব। অসম্ভবকে সম্ভব করাই তার কাজ।
সে ইতিমধ্যে ভন্ডামি ও প্রতারণার মাধ্যমে গ্রামের সহজ-সরল মহিলা ও পুরুষদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
প্রতিটি কাজের জন্য সে চুক্তি করে। বান কাটার জন্য ৩হাজার এক টাকা, চুরি মাল উদ্ধারের জন্য ৪ হাজার এক টাকা, স্বামী-স্ত্রীর গরমিল বন্ধে ৫ হাজার এক টাকার চুক্তি করেন।
কিন্ত কাজ না হওয়া সত্বে টাকা ফেরত চাইলে তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দেয় বৈদ্য ও তার সহযোগীরা।
স্থানীয়রা জানায়, সপ্তাহে তিনদিন ঝাঁড়-ফুক ও তাবিজ দেয়ার দিন ধার্য রয়েছে।
এ বিশেষ দিনে অন্তত শতাধিক নারী-পুরুষ তার কাছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন।
চুক্তিতে সে বিভিন্ন কাজের কন্টাক নেয়। কাজ না হলে সে ওই টাকা আর ফেরত দেয়না।
স্ট্যাম্প দিয়ে চুক্তিতে বিভিন্ন কাজ করে দেয়ার কথা থাকলেও কাজ না হওয়ার পর টাকা ফেরৎ চাইলে তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় ।
তারা আরো বলেন, সে একজন প্রতারক, ভন্ড। তার কোন শিক্ষাদীক্ষা নেই। সে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তার কাছে এসে প্রতিকার পেয়েছে এমন কোন নজির নেই।
টমটম চালক আবুল হাসেম জানান,আমার প্রবাসী বন্ধু থেকে ওর বিয়ে বন্ধ আছে বলে পাঁচ (হাজার) টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বৈদূ।
কাজ না হলে টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলে ৩ মাস পর টাকা ফেরত চাইতে গেলে হেনস্থার শিকার হয়েছে।
এসব প্রতারণার কাজে তার সাথে রয়েছে উজ্জল দাশসহ বেশ কজন সহযোগী।
সহযোগী রাজিব সাধন বৈদ্যের গুনগান গেয়ে সাধারণ মানুষকে ধোকা দিচ্ছে।
প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ শাহিনুর সাধন বলেন, কক্সবাজার পৌরসভা থেকে লাইসেন্স নিয়ে আমি সাধারণ মানুষের সেবা করি। দুধ এবং সাপের মাধ্যমে কাজ করি। কাজ না হলে আবারও আমার কাছে আসতে বলি। তবে কাউকে টাকা ফেরত দিইনা।
শাহানুর সাধন বৈদ্যের এসব অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
ঈদগাঁহ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনর্চাজ আবদুল হালিম বলেন, কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।