নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় স্ত্রীসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৭ জুন) উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের গাবতলী নোয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, পৌরশহরে ৪নং ওয়ার্ডে মোঃ রুবেল তিন বছর আগে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে নয়াপাড়া গাবতলী এলাকায় সাজু’ র মেয়ে জনাতুল ফেরদৌসকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। সাংসার বেশ কয়েকমাস কেটে যাওয়ার জনাতুল ফেরদৌস তার বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। কয়েকদিন পর যখন স্ত্রীকে বাপেরবাড়ি থেকে আনতে যান স্বামী। তুচ্ছ ঘটনা বিষয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় তুচ্ছ ঘটনায় জেরে জনাতুল ফেরদৌস তার স্বামী রুবেলের গায়ে হাত তোলেন, মারধর করেন। অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে তাকে তালাকের হুমকি দেন। এমনকি গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে নারী নির্যাতন মামলার হুমকি দেন। রুবেল শরীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে চলে আসেন। এবিষয় স্থানীয় কাউন্সিলর কাছে অভিযোগ দেন। অভিযোগ ভিত্তিতে বিচার সালিশে জনাতুল ফেরদৌস ও তার পরিবারের লোকজনকে আসতে বলেন। বিচারক কথা অমান্য করে উল্টো রুবেলকে হুমকি দেয় নারী নির্যাতন মামলা করে আমাকে জেলের ভাত খাওয়াবে। এর বেশ কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পর রুবেল স্ত্রী জনাতুল ফেরদৌসের পরিবারে কন্যা সন্তান আসে। এর সুবাদে জনাতুল ফেরদৌসকে বাপেরবাড়ি থেকে আনতে যান আবার, তখন জনাতুল ফেরদৌস ফিরে আসতে অস্বীকার করেন। তাই নয়, রুবেলের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে মারধর করেন। মারধর সহ্য করতে না পেরে ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পরে আশপাশের লোকজনের তাকে উদ্ধার করেন পৌরশহরে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করেন।
ভুক্তভোগী স্বামী রুবেল জানান, আমার নবজাতক সন্তানকে দেখতে গেলে জনাতুল ফেরদৌস বাপেরবাড়ি লোকজনরা ও স্ত্রী আমাকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। আমার স্ত্রী ও তার পরিবারের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্থানীয় কাউন্সিলর ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অভিযোগ দিয়েছি। আমার স্ত্রী জনাতুল ফেরদৌস আমাকে হুমকি দিচ্ছে নারী নির্যাতন মামলা করে আমাকে জেলের ভাত খাওয়াবে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। এ বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
জুনাতুল ফেরদৌসকে এলাকায় না পাওয়ার কারণে এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।