নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় গাছে গাছে ফুটেছে সুন্দরীবান্ধব কদম ফুল। বাতাসে দোল খাওয়া কদম ফুলের তালে তালে পাখিরাও নেচে আজ পাগলপারা। গাইতে থাকে মিষ্টি সুরে গান। দৃষ্টিনন্দন কদম ফুল প্রকৃতিকে এক অপার সৌন্দর্যে ফুটে তুলেছে। এই ফুল নজর কাড়ছে শত প্রকৃতি প্রেমীদের।
তবে ধীরে ধীরে প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে চিরচেনা বর্ষার এ কদম ফুল। নগরায়নের যুগে মানুষের সামান্য প্রয়োজনে কেটে ফেলছে কদমসহ বহু গাছ। যার ফলে সেই বহুগুণে গুণান্বিত কদম গাছ আজ হারিয়ে যেতে বসেছে প্রকৃতি থেকে।
চকরিয়ার গ্রাম গঞ্জে বসতবাড়ি আঙ্গিনায় কিছু সংখ্যক কদম ফুল গাছ দেখা গেছে। যেখানে সবুজ পাতার ফাঁকে উকি দিচ্ছে হলুদ বর্নের অসংখ্য কদম ফুল। সে চোখ জুড়ানো ঘন সবুজ পাতার মধ্যে সাদা-হলুদ মঞ্জুরি ফুলের চিরচেনা কদম গাছ সময়ের ব্যবধানে চোখে পড়ে যায় না তেমন। কিন্তুু এখনো প্রকৃতির সৌন্দর্যে কদম ফুলের আবেগে পড়েনি এমন মানুষ পাওয়া দুর্বিসহ।
তাই তো কবি জীবনানন্দ দাশ কদম ফুলের রুপের মহিমা প্রেমে পড়ে বলেছিলেন, বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান, আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান/মেঘের ছায়ায় অন্ধকারে রেখেছি ঢেকে তারে এই-যে আমার সুরের ক্ষেতের প্রথম সোনার ধান আজ এনে দিলে, হয়তো দিবে না ক্লান্ত রিক্ত হবে যে তোমার ফুলের ডাল। এ গান আমার শ্রাবণে শ্রাবণে তব বিস্মৃতি স্রোতের লাবনে ফিরিয়া ফিরিয়া আসিবে তরণী বহি তব সম্মান।
জানা যায়, কদম ফুল শুধু সৌন্দর্য্য নয়, ভেষজ গুণের পাশাপাশি কদমের রয়েছে অর্থনৈতিক গুরুত্বও। বীজ থেকে চারা হয়। চারা গজানোর ৯-১০ বছরের মধ্যে ফুল ফোটে। আষাঢ় মাসে গাছে ফুল আসে। ফুলগুচ্ছ আকারে গোলাকার সাদা বর্ণের হয়ে থাকে। কদম মূলত বর্ষার ফুল হলেও জলবায়ুর পরিবর্তনে আগাম বৃষ্টির কারণে বৈশাখ বা জৈষ্ঠ্য মাসেও চোখে পড়ে। বজ্রগর্ভ বৃষ্টির পানি এর শিকড়ে পৌঁছালেই ফুল ফুটতে শুরু করে। সবুজ পাতার ফাঁকে হলুদ কদম ফুল সৃষ্টি করে নান্দনিক এক পরিবেশ। কদম ফুল গাছের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয় ফল সংগ্রহ করে প্রিয়জনকে উপহার হিসেবে দিতেন। কিন্তু কদম ফুল এখন আর রাঙাতে পারে না মানুষের মন। এক সময় সর্বত্র চোখে পড়ত কদম গাছ। বর্ষার আগমনের সাথে সাথে চোখে পড়ত সেই কদম ডালে ফোটা ফুল থোকা থোকা। আজ প্রকৃতি থেকে বিলুপ্ত প্রায় চিরচেনা কদম ফুলের গাছ।
চকরিয়া (বাপা) পরিবেশ আন্দোলন নেতা সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম বলেন, কদম ফুলগাছ বর্ষা প্রকৃতির এক অপরুপ সুন্দর্য বহন করে। কদমগাছ যেমন মানুষের উপকারে আসে তেমনি এর ফুল বর্ষাকালে তার সুন্দর্য তুলে ধরে, তাই সকলের উচিত বর্ষা মৌসুমে অন্যান্য গাছের পাশাপাশি একটি করে কদম ফুলগাছ লাগানো এবং পরিচর্যা করার।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।