নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরি নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। প্রভাবশালীরা অবাধে বালু উত্তোলনে ক্ষতবিক্ষত মাতামুহুরি নদীর চর। এতে বেড়িবাঁধ, ফসলি জমি এবং ঘরবাড়ি হুমকিতে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শনিবার (২২ অক্টোবর) সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন দক্ষিণ ঘুনিয়া ফকিরা বাজারে সংলগ্ন মাতামুহুরি নদীর চরে অবৈধভাবে ফসলের জমিতে একটি অসাধু চক্র বালু উত্তোললের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় জনজীবন, কৃষি এবং প্রাণ-প্রকৃতি। মাতামুহুরি নদীর পনি কমে যাওয়ায় অবাধে চলছে বালু উত্তোলন ও বিক্রির মহোৎসব। বালু-ভরাট ভর্তি ও খালি ট্রাক ফসলি জমির পাশ দিয়ে ও গ্রামের মধ্যের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এতে গ্রামের রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। নিয়ন্ত্রণহীন এসব ট্রাক চলাচল করায় অনেকেই সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ছে। ছোট শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ আতংকের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা চলাচলের সময় বালুর ট্রাকে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়তে পারে বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মাতামুহুরি চর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছেন রিদুয়ানুল হক মজিদী, জামাল উদ্দিন, মিলন দে, মোঃ অসিন,মুজিবুল হক, মো ইউনুছ বালু বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভূমিদস্যু ও বালু ব্যাবসায়ীরা। অথচ হুমকির মধ্যে পড়ছে মাতামুহুরি নদী, স্থানীয় রাস্তা-ঘাট, ফসলের জমি, সবজি ক্ষেতসহ বাড়িঘর। এভাবে বালু উত্তোলনে বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি প্রবাহিত হলে নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ার ওই সব স্থাপনা সহ গ্রাম গুলো নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। এমতাবস্থায় দীর্ঘ মেয়াদি ক্ষতি রোধে বালু উত্তোলন বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা বললে তারা জানান, মাতামুহুরি নদীর চরের এসব জায়গার মালিক তাঁরা। তাঁদের দলিল ও কাগজপত্র রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের থেকে ইজারা নিয়ে বালু বিক্রি করছেন বলে জানান।
এ-ই বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিনকে একাধিকবার মুঠোফোন যোগাযোগে চেষ্টা করা হলে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।